আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনি কি ইচ্ছুক? তাহলে আপনি
সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে আল্ট্রাসনোগ্রাম
রিপোর্ট কিভাবে বুঝবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব যা থেকে
আপনি সঠিক ধারণা পাবেন।
আল্ট্রাসনোগ্রাম এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের গর্ভের অবস্থা,
শিশুর বৃদ্ধি ও ভ্রূণের হার্ট সম্পর্কে জানা যায়। যে পদ্ধতি অবলম্বন করে এটি
জানা যায় এ নির্ণয়ের পদ্ধতিটি কে বলা হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি। এ সম্পর্ক সকল তথ্য
পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃআল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ভ্রুণের অবস্থা কিভাবে বুঝবেন
আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ভ্রুনের অবস্থা কিভাবে বুঝবেন তা নিয়ে অনেকের মনে নানা
রকমের প্রশ্ন ঘর পাক খাচ্ছে। আমাদের এ সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণেই এমনটা হয়ে
থাকে। আল্ট্রাসনোগ্রাম এর মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের শারীরিক গঠন, লিঙ্গ, ভ্রুনের
অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। তাই এর সম্পর্কে ধারণা থাকাটা খুবই জরুরী। তাই নিজে
যদি রিপোর্টটা বুঝতে পারি তাহলে আরো বেশি ভালো হয়।
এ নিয়ে অনেকের মনে কৌতুহল জাগতে পারে যে নিজে নিজে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টটা
দেখে বুঝতে পারলে কতই না ভালো হতো। অল্প কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকলেই আপনি
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টটি বুঝতে পারবেন। চলুন দেরি না করে জেনে নেই কোন কোন
বিষয় সম্পর্কে জানলে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট টি ভালোভাবে বোঝা যাবে এবং
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে।
Number of fetus: এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভে ফিটাচের সংখ্যা জানা যায়।
Fetus বলতে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানকে বোঝায়। যতদিন পর্যন্ত বাচ্চাটি মায়ের
গর্ভে থাকে ততদিন পর্যন্ত এটিকে Fetus নামে অবহিত করা হয়। এর মাধ্যমে মায়ের
গর্ভে থাকা সন্তানটি যদি জমজ হয় সে ক্ষেত্রে Number of fetus এর সংখ্যা ২ বা তার
বেশি হতে পারে অন্যথায় সংখ্যাটি ১ হয়ে থাকে।
Cardic activity: এর মাধ্যমে fetus এর হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক আছে কিনা তা বোঝা যায়। স্বাভাবিক থাকলে present অন্যথায় absent উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রিপোর্টের মধ্যে HR কিংবা FHR উল্লেখ করা থাকে। যার মাধ্যমে প্রতি মিনিটে কতবার হৃদস্পন্দন হচ্ছে সেটা জানা যায়।
Gross fetal movement: এর মাধ্যমে গর্ভের মধ্যে থাকা বাচ্চার নড়াচড়া আছে কিনা সে সম্পর্কে জানা যায়। যদিও বা চার থেকে পাঁচ মাসের আগে বোঝা যায় না যে fetus এর নড়াচড়া ঠিকভাবে আছে কিনা। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এর মাধ্যমে ভ্রুনের নড়াচড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।
Amniotic Fluid Index: এটি কি সংক্ষেপেAFI বলা হয়ে থাকে। গর্ভের ভ্রুন যে তরলে থাকে তার পরিমাণ বোঝা যায় এর মাধ্যমে। আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্টে এটি সেন্টিমিটার বা মিলিমিটার আকারে দেয়া থাকায় এর স্বাভাবিক মাত্রা ৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার ধরা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ২৫ সেমি এর বেশি হলে fluid মাত্রা বেশি ৫ পাঁচ এর কম হলে fluid এর মাত্রা কম হচ্ছে বলে ধরে নেয়া হয়।
LMP: সর্বশেষ পিরিয়ডের প্রথম দিনটিকে রিপোর্টের মধ্যে LMP হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
Gestational age: এর মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সময় সম্পর্কে জানা যায়। অর্থাৎ গর্ভাবস্থার কত নম্বর সপ্তাহ চলছে এটি তা নির্দেশ করে।
EDD: এর মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি কবে হবে সে সম্পর্কে সম্ভাব্য তারিখ দেয়া হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ তারিখ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় না। দেখা গেছে যে মাত্র ৪% শিশুর আল্ট্রাসাউন্ডে দেওয়া তারিখে নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে।
Location: এর মাধ্যমে ভ্রুণ জরায়ুর কোন জায়গায় অবস্থান করছে সে সম্পর্কে জানা যায়। যদি রিপোর্টের মধ্যে Intra uterine লেখা থাকে তবে বোঝা যাবে ভ্রুণ জরায়ুর মধ্যে অবস্থান করছে। আর যদি extra uterine লেখা থাকে সে ক্ষেত্রে বোঝা যাবে ভ্রুণ জরায়ুর বাইরে অবস্থান করছে। কেননা অনেক সময় বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় ভ্রুনের অবস্থান জরায়ুর বাইরে হয়ে থাকে।
Presentation: এর মাধ্যমে বাচ্চা গর্ভের মধ্যে কোন দিকে হয়ে আছে সে সম্পর্কে জানা যায়। অর্থাৎ বাচ্চার মাথা ও পা কোন দিকে রয়েছে সে সম্পর্কে জানা যায়। অনেক সময় বাচ্চার মাথা উপরে থাকে এবং পা নিচে থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে পা নিচের দিকে এবং মাথা উপরের দিকে থাকে এর সকল অবস্থান প্রেসেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে জানা যায়।
Lie: এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভে থাকা ভ্রুনের স্পাইনাল কলাম বা মেরুদন্ড মায়ের স্পাইনাল কলাম এর সাথে কিভাবে অবস্থান করছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যায়।
Cardic activity: এর মাধ্যমে fetus এর হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক আছে কিনা তা বোঝা যায়। স্বাভাবিক থাকলে present অন্যথায় absent উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রিপোর্টের মধ্যে HR কিংবা FHR উল্লেখ করা থাকে। যার মাধ্যমে প্রতি মিনিটে কতবার হৃদস্পন্দন হচ্ছে সেটা জানা যায়।
Gross fetal movement: এর মাধ্যমে গর্ভের মধ্যে থাকা বাচ্চার নড়াচড়া আছে কিনা সে সম্পর্কে জানা যায়। যদিও বা চার থেকে পাঁচ মাসের আগে বোঝা যায় না যে fetus এর নড়াচড়া ঠিকভাবে আছে কিনা। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এর মাধ্যমে ভ্রুনের নড়াচড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।
Amniotic Fluid Index: এটি কি সংক্ষেপেAFI বলা হয়ে থাকে। গর্ভের ভ্রুন যে তরলে থাকে তার পরিমাণ বোঝা যায় এর মাধ্যমে। আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্টে এটি সেন্টিমিটার বা মিলিমিটার আকারে দেয়া থাকায় এর স্বাভাবিক মাত্রা ৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার ধরা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ২৫ সেমি এর বেশি হলে fluid মাত্রা বেশি ৫ পাঁচ এর কম হলে fluid এর মাত্রা কম হচ্ছে বলে ধরে নেয়া হয়।
LMP: সর্বশেষ পিরিয়ডের প্রথম দিনটিকে রিপোর্টের মধ্যে LMP হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
Gestational age: এর মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সময় সম্পর্কে জানা যায়। অর্থাৎ গর্ভাবস্থার কত নম্বর সপ্তাহ চলছে এটি তা নির্দেশ করে।
EDD: এর মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি কবে হবে সে সম্পর্কে সম্ভাব্য তারিখ দেয়া হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ তারিখ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় না। দেখা গেছে যে মাত্র ৪% শিশুর আল্ট্রাসাউন্ডে দেওয়া তারিখে নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে।
Location: এর মাধ্যমে ভ্রুণ জরায়ুর কোন জায়গায় অবস্থান করছে সে সম্পর্কে জানা যায়। যদি রিপোর্টের মধ্যে Intra uterine লেখা থাকে তবে বোঝা যাবে ভ্রুণ জরায়ুর মধ্যে অবস্থান করছে। আর যদি extra uterine লেখা থাকে সে ক্ষেত্রে বোঝা যাবে ভ্রুণ জরায়ুর বাইরে অবস্থান করছে। কেননা অনেক সময় বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় ভ্রুনের অবস্থান জরায়ুর বাইরে হয়ে থাকে।
Presentation: এর মাধ্যমে বাচ্চা গর্ভের মধ্যে কোন দিকে হয়ে আছে সে সম্পর্কে জানা যায়। অর্থাৎ বাচ্চার মাথা ও পা কোন দিকে রয়েছে সে সম্পর্কে জানা যায়। অনেক সময় বাচ্চার মাথা উপরে থাকে এবং পা নিচে থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে পা নিচের দিকে এবং মাথা উপরের দিকে থাকে এর সকল অবস্থান প্রেসেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে জানা যায়।
Lie: এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভে থাকা ভ্রুনের স্পাইনাল কলাম বা মেরুদন্ড মায়ের স্পাইনাল কলাম এর সাথে কিভাবে অবস্থান করছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যায়।
Placenta: মায়ের সাথে ভ্রুনের মূল সংযোগ কে প্লাসেন্টা বলা হয়ে থাকে। এর
মাধ্যমে গর্ভের সন্তান খাদ্য ও পুষ্টি পায় এবং অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড
আদান-প্রদান করে থাকে। এর অবস্থা বোঝাতে রিপোর্টে Grade 0, Grade 1, Grade 2 ও
Grade 3 উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যেহেতু গর্ভাবস্থার সময় বাড়ার সাথে সাথে
প্লাসেন্টা পরিবর্তিত হয় তাই সেই অনুযায়ী এই গ্রেডিং করা হয়ে থাকে।
১৮ সপ্তাহের আগ পর্যন্ত Grade 0 উল্লেখ করা হয়। ১৮ থেকে ২৯ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে
Grade 1 উল্লেখ করা হয়। ৩০ থেকে ৩৮ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে এখানে Grade 2 উল্লেখ
করা হয়ে থাকে। এবং সর্বশেষে ৩৮ সপ্তাহের পর Grade 3 উল্লেখ করা হয়ে থাকে। অনেক
সময় বিভিন্ন জটিলতার কারণে ৩৮ সপ্তাহের আগেই Grade 3 পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে
অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
সাধারণত ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের আল্ট্রাসাউন্ড এর মধ্যে প্লাসেন্টার অবস্থান
সম্পর্কে জানা যায়। প্লাসেন্টা যেখন জরায়ুর দেয়ালের সামনের অংশে থাকে তখন তাকে
অ্যান্টেরিওর প্লাসেন্টা বলে। আবার প্লাসেন্টা যখন জরায়ুর দেয়ালের পেছনের অংশে
থাকে তখন তাকে পোস্টেরিয়র প্লাসেন্টা বলে। প্লাসেন্টা যখন জরায়ুর দেয়ালের
উপরের অংশ থাকে সেটিকে বলে ফান্ডাল পজিশন।
প্লাসেন্টা যখন জরায়ুর দেয়ালের ডান বা বাম পাশে থাকে তখন তাকে রাইট অর লেফট
লেটারাল পজিশন বলে। প্লাসেন্টা যখন জরায়ুর উপরের দিকে যুক্ত থাকে তখন তাকে আপার
সেগমেন্ট বলে এবং প্লাসেন্টা যখন জরায়ুর নিচের দিকে যুক্ত থাকে তখন তাকে লোয়ার
সেগমেন্ট বলে। প্লাসেন্টা যখন জরায়ুর মুখ ঢেকে রাখে তখন তাকে প্লাসেন্টা
প্রিভিয়া বলে।
CRL: ভ্রুনের মাথা থেকে পশ্চাৎদেশ পর্যন্ত অংশের পরিমাপকে CRL বলে।
Biparietal diameter: ফিটাস এর বয়স ওজন পরিমাপের জন্য যেমন একটি ভূমিকা রয়েছে তেমনি ভ্রুনের মাথার খুলির ব্যাস এর পরিমাপ জানার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Head Circumference: ভ্রূণের সম্ভাব্য ওজন পরিমাপ করা ও ভ্রুনের মাথার গোল অংশের পরিধির পরিমাপ বোঝানোর জন্য head circumference ব্যবহার করা হয়।র্
Abdominal Circumference: এর মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের পেটের পরিধি নির্দেশ করা হয়।
Femur Length: এর মাধ্যমে রুনের ফিমারের দৈর্ঘ্য কত তা জানা যায়। এছাড়া এর মাধ্যমে ভ্রুনের বয়স নির্ণয় করা যায় এবং এটিকে ভ্রুনের স্বাভাবিক বৃদ্ধির মাপকাঠি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
Estimated Fetal: এর মাধ্যমে ভ্রুনের ওজনের পরিমাপ গ্রামে প্রকাশ করা হয়।
Biparietal diameter: ফিটাস এর বয়স ওজন পরিমাপের জন্য যেমন একটি ভূমিকা রয়েছে তেমনি ভ্রুনের মাথার খুলির ব্যাস এর পরিমাপ জানার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Head Circumference: ভ্রূণের সম্ভাব্য ওজন পরিমাপ করা ও ভ্রুনের মাথার গোল অংশের পরিধির পরিমাপ বোঝানোর জন্য head circumference ব্যবহার করা হয়।র্
Abdominal Circumference: এর মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের পেটের পরিধি নির্দেশ করা হয়।
Femur Length: এর মাধ্যমে রুনের ফিমারের দৈর্ঘ্য কত তা জানা যায়। এছাড়া এর মাধ্যমে ভ্রুনের বয়স নির্ণয় করা যায় এবং এটিকে ভ্রুনের স্বাভাবিক বৃদ্ধির মাপকাঠি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
Estimated Fetal: এর মাধ্যমে ভ্রুনের ওজনের পরিমাপ গ্রামে প্রকাশ করা হয়।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে কিভাবে বুঝবো
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে কিভাবে বুঝবো এটি আসলেই অনেক চিন্তার একটি
বিষয়। কেননা গর্ভের সন্তান কে মা এবং বাবা দুজনেই খুব চিন্তিত থাকে। তবে
দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে খুব সহজেই ছেলে নাকি মেয়ে
সে সম্পর্কে জানতে পারা যায়।আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে জানার
জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
রক্তচাপঃ গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে গর্ভের
সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। একটি
পরীক্ষায় দেখা গেছে যে গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ যদি 140 BPM এর বেশি হয় তবে সে
ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান হয় এবং যদি হাড় এর কম হয় তাহলে সাধারণত মেয়ে সন্তান
হয়।
ভ্রুনের হার্টবিটঃ ভ্রুনের হার্টবিট যদি প্রতি মিনিটে ১৪০ বারের কম হয় সে
ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান হয় এবং বেশি হলে সেক্ষেত্রে মেয়ে সন্তান হয়।
XX-XY ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর চিহ্নঃ সাধারণত গর্ভের বাচ্চাটি যদি
ছেলে হয় সে ক্ষেত্রে XY এবং বাচ্চাটি যদি মেয়ে হয় সেক্ষেত্রে XX ব্যবহার করে
গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। আবার আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের
মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমেও বাচ্চার লিঙ্গ কিভাবে তা
নির্দেশ করা হয়।
কত সপ্তাহে ছেলে না মেয়ে বোঝা যায়
কত সপ্তাহে ছেলে না মেয়ে বোঝা যায় এ কথাটি আসলে আমাদের কারোরই জানার কথা না।
তবে গর্ভের সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে এটি জানার জন্য মা ও বাবা দুজনই আকুল হয়ে
থাকে। আলট্রাসনোগ্রাম আবিষ্কার এর পূর্বে এটি জানা কষ্টকর হলেও বর্তমান সময়ে
আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে ডাক্তাররা খুব সহজেই বলে দিতে পারে গর্ভের
সন্তান কি ছেলে নাকি মেয়ে।
গর্ভের সন্তানের শারীরিক অবস্থা, সন্তানের পজিশন আরো অনেক কিছু বিষয় সম্পর্কে
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে খুব সহজে জানা যায়। তবে রিপোর্টের মাধ্যমে
এসব কিছু। জানার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার প্রয়োজন হয়। সাধারণত
গর্ভাবস্থার ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ পর আলট্রাসনোগ্রাম করালে বোঝা যায় যে গর্ভের
সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে।
প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষনে জানতে পেরেছেন আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট কিভাবে বুঝবেন সে সম্পর্কে এবং সেইসাথে আরো জানতে পেরেছেন রিপোর্টের মাধ্যমে কিভাবে বোঝা যায় ছেলে
নাকি মেয়ে। গর্বের সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে সে সম্পর্কে কত সপ্তাহের মধ্যে
বোঝা যায় সে সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এখন আপনাদেরকে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট
সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট
গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের সঠিক অবস্থান
জানা যায়। এর সাথে ভ্রূণের নড়াচড়া ঠিকঠাক আছে কিনা বা ভ্রুনের হার্টবিট
ঠিকভাবে চলছে কিনা সে সম্পর্কেও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে
জানা যায়। তারপরেও গর্ভে থাকা সন্তানকে নিয়ে হবু পিতা মাতা সব সময় চিন্তার
মধ্যে থাকে যতক্ষণ না সন্তানটি ভূমিষ্ঠ হয়।
তবে বর্তমানে সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট টি তাদের চিন্তাকে অনেক অংশে কমিয়ে
নিয়ে এসেছে। কেননা এটি আবিষ্কারের পূর্বে কোনো ভাবেই জানা যেত না গর্ভের শিশুটি
কি অবস্থায় রয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বিজ্ঞানের একটি বিশেষ আবিষ্কার।
আলট্রাসনিক ওয়েভ ব্যবহার করে আল্ট্রাসাউন্ড জেলের মাধ্যমে গর্ভের ভেতরের অবস্থা
জানা যায়। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এটিতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে ইমেজ পাওয়া সম্ভব। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে
গর্বের সন্তানের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের আকার আকৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
এর মাধ্যমে মাতৃগর্ভের ভ্রুনের সংখ্যা জানা যায়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা গর্ভের
বাচ্চার খবর নেয়ার জন্য তিনবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার কথা বলে থাকেন। যাতে
বাচ্চার সকল তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকা যায়।
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট কি ভুল হয়
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট কি ভুল হয় এ সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিত ভাবে জানেন না।
আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহার করে যেমন খুব সহজেই শিশুর অবস্থান, আকার-আকৃতি, শারীরিক
গঠন, ভ্রূণের অবস্থা, হৃদস্পন্দন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানা যায় তেমনি এসব
কিছু জানার মাধ্যমে মা-বাবার মনে অনেকটা স্বস্তি জন্মে। কেননা এর সন্তানকে নিয়ে
তারা অনেক আশাবাদী। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে আজকের
আর্টিকেলে বিস্তারিত জানাবো।
তবে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট সবসময় ঠিক নাও হতে পারে। কেননা অনেক সময় যান্ত্রিক
ত্রুটির কারণে গর্ভে শিশুর অবস্থান ঠিকভাবে জানা যায় না অথবা রিপোর্ট ভুল আসার
সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় ভুল রিপোর্ট চলে আসে। সে ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ
নেই। কেননা মানুষের কিছু সামান্য ত্রুটির কারণে বা যন্ত্রের কিছু ত্রুটির কারণে
রিপোর্ট ভুল আসতেই পারে।
আপনি একটা জিনিস খেয়াল করলেই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। গর্ভাবস্থার ১০
থেকে ১৪ তম সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করনার মাধ্যমে ডেলিভারি কবে হবে সে সম্পর্কে
সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে সে সম্ভাব্য
তারিখে ডেলিভারি হয় না। তাহলে বুঝা গেল অবশ্যই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ভুল হয়।
তাই কোনভাবেই এর উপরে সম্পূর্ণভাবে ভরসা করে থাকা যাবে না।
লেখকের মন্তব্যঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত
ভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট কামাকা কোথাকার ভিডিও চালু
হয়ে যাবে বুঝলাম নাসম্পর্কে আপনাদেরকে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার জন্যই আজকের
আর্টিকেল লিখেছি। সুতরাং আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর পর অবশ্যই রিপোর্টটি ডাক্তারকে
দিয়ে দেখিয়ে নেবেন। যাতে করে সঠিক তথ্যটি আপনি ভালোভাবে জানতে পারেন।
একটি শিশুর জন্ম পরিবারের মধ্যে অনাবিল সুখ ও আনন্দ নিয়ে আসে। তাই ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর অবস্থান জানার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করবেন। এরকম তথ্য
বহুল সব কন্টেন্ট পাওয়ার জন্য ফলো দিয়ে পাশে থাকুন। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তবে তা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও আল্ট্রাসনোগ্রাম
রিপোর্ট সম্পর্কে ধারণা পায়। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এক্সপার্ট আইটি 24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url