গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-জামের পুষ্টিগুন

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জামের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনি কি যথাযথভাবে জানতে ইচ্ছুক। আপনি যদি ভেবে থাকেন এ সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা দরকার তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
গর্ভাবস্থায়-জাম-খাওয়ার-উপকারিতা
জাম খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। টসটসে পাকা জাম দেখলে তা খাওয়ার জন্য অনেকের মুখে পানি চলে আসে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল গর্ব অবস্থায় আপনি জাম খেতে পারবেন কিনা। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের কে এ বিষয়টি পুরোপুরিভাবে জানানোর চেষ্টা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-জামের  পুষ্টিগুন

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতার শেষ নেই। জাম খুবই সুমিষ্ট ও সুস্বাদু টি ফল। তবে একজন মা যখন গর্ভবতী হয় সে সময়টা তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সকল কাজে সাবধানতা অবলম্বন করে চলে তার জন্য খুবই জরুরী। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে তাদের সতর্ক হওয়া উচিত কেননা এ সময় তার সন্তানের বিকাশ এবং সুস্বাস্থ্য তার কর্মকান্ডের উপরে নির্ভরশীল।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণে আপনারা জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া যাবে কিনা। অর্থাৎ সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় জাম খেলে কোন সমস্যা নেই তা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও জানা গেছে যে গর্ভকালীন সময়ে জাম খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় জাম খেলে আসলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় আসুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।

হজমশক্তি বৃদ্ধি ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করেঃ জাম এমন একটি গ্রীষ্মকালীন ফল যেটি মানুষের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রেগনেন্সির সময়ে মায়েদের যদি পেটের মধ্যে কোন সমস্যা থাকে তবে নিয়মিত জাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে আপনার পেট ক্লিয়ার থাকবে। শুধু তাই নয় নিয়ম মাফিক জাম খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েরা প্রিক্ল্যাম্পসিয়া বা উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। এছাড়া নানা জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।

জামের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক। এটি গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। যা মা ও সন্তান দুজনের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি আরেকটি বিষয় জানলে আরো খুশি হবেন যে জামের মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় শারীরিক ওজন বাড়ার প্রবণতা কম থাকে। তাই আপনি গর্ভকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ জাম খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

জামের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে নিয়মিত জাম খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি আপনাকে ডায়রিয়া এবংআলসারের মত কঠিন রোগ থেকেও অনেকাংশে নিরাপত্তা দান করবেন। জাম আপনার শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ফলে রক্তশূন্যতা জাতীয় সমস্যা থেকেও আপনি পরিত্রান পেতে পারেন।

শিশুর দৃষ্টিশক্তি ও ভ্রূণের বিকাশ সাধন করেঃ জামের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ শিশুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অন্যদিকে জামের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম বাচ্চার ভ্রূণের বিকাশে খুবই সহায়ক এবং এটি অকালে বাচ্চা প্রসব হওয়া থেকে আপনাকে সেভ করতে পারে। ফলে গর্ভের শিশুটির ভ্রুণের সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটে এবং সন্তান সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে পৃথিবীতে আগমন করে। তাই দৈনন্দিন জীবনে জাম খাওয়া উচিত।

এছাড়া নিয়মিত জাম খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পাবে এবং জামের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে দাঁতের মাড়ি বা দাঁতে যদি কোন সমস্যা থাকে সে সমস্যা থেকেও তারা মুক্তি পেতে পারে। আবার অনেক মা ডায়াবেটিস জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। জাম এমন একটি ফল যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া যাবে কি না এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই নানা রকম বিভ্রান্তিতে ভুগে থাকেন। জাম পুষ্টিকর খাবার হওয়ায় আপনারা সকলেই এটি পছন্দ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া নিয়ে তাই তো। চিন্তা করবেন না আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানাবো।

তবে হ্যাঁ আপনি গর্ভকালীন সময়ে নিশ্চিন্তে জাম খেতে পারেন। কেননা জামের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান আপনাকে যেমন সুস্থ রাখবে এর সাথে আপনার বাচ্চার ভ্রুনের বিকাশ সাধিত হবে এবং এটি বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। গ্রীষ্মকালীন এই ফল গ্রামে গঞ্জের প্রায় সব জায়গাতেই খুব সহজে পাওয়া যায়। তাই আপনি নির্দ্বিধায় গর্ভকালীন সময়ে জাম খেতে পারেন।

গ্রীষ্মকালে বাজারে গেলে আপনি দেখতে পাবেন সুন্দর সুন্দর পাকা টসটসে জামগুলো ঝুড়ি ভর্তি করে রাখা হয়েছে। যা আপনি চাইলে কিনে এনে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের পুষ্টি চাহিদা কে পূরণ করবে। তাই গর্ভকালীন সময়ে জাম খাব কিনা এরকম চিন্তার কোন কারণ নেই। এর একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ থাকায় এটি আপনার শরীরকে শক্তি প্রদান করবে।

জামের বীজের উপকারিতা

জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। আপনার এতক্ষন জানলেন জাম খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েরা কি কি উপকার পেতে পারেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো জামের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে।

আপনার যদি ডায়াবেটিস জাতীয় কোন সমস্যা থাকে যা আপনি কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না তবে জামের বীজের মাধ্যমে আপনি এদিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে জামের বীজ গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর এক গ্লাস পানির মধ্যে এক চামচ বীজের গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে কয়েকদিন খাওয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবেন।

আবার জামের মধ্যে বিদ্যমান এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ লিভারের প্রদাহ কমাতে সহযোগিতা করে।জামের বীজগুলো শক্তিশালী আমিষ গুণসম্পন্ন হওয়ায় নিয়মিত এগুলো সেবনে শরীরের শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে পুরুষের বীর্যত্বও বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষের পোস্ট এর জাতীয় সমস্যার সমাধানেও এটি সহায়তা করে থাকে। আবার জামের বীজের পাউডার খাদ্যের মধ্যে ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্যের স্বাদ এবং পুষ্টি গুনাগুন উভয়ই বৃদ্ধি পায়।

জামের পুষ্টি ও গুনাগুন

জামের পুষ্টি ও গুনাগুন এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও গুণগত মানসম্পন্ন একটি ফল। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এছাড়াও জামের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ। যা শরীরের হাড়গুলোকে শক্তিশালী করে তোলে এবং মাতৃগর্ভের সন্তানের ভ্রূণের বিকাশ সাধন করে থাকে। আবার ক্যালসিয়াম অস্থি ও দাঁত কে মজবুত করে।
জামের-পুষ্টি-ও-গুনাগুন
জামের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ভিটামিন সি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকর ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে। এমন অনেক মায়েরা আছেন যারা গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে আপনি যদি নিয়মিত জাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তবে এর মধ্যে থাকা ফাইবার আপনার পেটকে ক্লিয়ার রাখে এবং আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

জাম খাওয়ার নিয়ম

খাওয়ার নিয়ম জেনে গর্ভকালীন সময় যদি আপনি যান খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার বেশি কাজে আসবে। কেননা যেকোনো কাজ যখন নিয়ম অনুসারে করা হয় তখন সে কাজের ফায়দা সব সময় বেশি পাওয়া যায়। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যেমন জানতে পারবেন তেমন জাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

জাম খাওয়ার জন্য আপনাকে পরিপক্ক ও ফ্রেশ জাম নির্বাচন করতে হবে। এরপরে স্বচ্ছ পরিষ্কার পানি দিয়ে জামগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে তারপরে খেতে হবে। কেননা জাম গুলো যদি ভালোভাবে পরিষ্কার করে না খান তবে এর মধ্যে থাকা ময়লা ও রোগ জীবাণু শরীরের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই জাম খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

অপরিপক্ক জাম খাওয়া যাবে না। আবার মাটিতে পড়ে থেঁতলে যাওয়া কিংবা নষ্ট হয়ে যাওয়া জাম কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা। তাই গাছ থেকে পাড়া ফ্রেশ জাম অথবা বাজার থেকে কিনে আনা পরিপক্ক জাম গুলি খাওয়া উচিত। তবে আপনি জামগুলোকে বাড়িতে আনার পর দুই দিনের বেশি রাখলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই আপনাকে জামগুলো একটি নেট ব্যাগে করে সুন্দরভাবে মুখ বেঁধে সেগুলোকে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে। এতে করে যেমন জামগুলোর পুষ্টী গুনাগুন ঠিক থাকবে তেমনি আপনি এগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে খেতে পারবেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকৃত অথবা পরিপক্ক নয় এমন জাম কখনোই খাওয়ার জন্য নির্বাচন করবেন না।

গর্ভাবস্থায় আপনি চাইলে জামগুলোকে বিভিন্ন রেসিপি ব্যবহার করে আরো সুস্বাদু বানিয়ে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ৩ থেকে ৪ কাপ বীজ ছাড়ানো জামের মধ্যে ২ কাপ দই ও পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে সেগুলোকে ব্লেন্ডারের মাধ্যমে ব্লেন্ড করতে হবে। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এর মধ্যে কয়েকটি বরফের টুকরা ছেড়ে দিতে হবে। এতে করে এর স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই বেড়ে যাবে।

জাম খেলে কি বাচ্চা কালো হয়

জাম খেলে কি বাচ্চা কালো হয় প্রশ্নটি আপনার মনের মধ্যে খটকা লাগাতেই পারে। কেননা জাম যেহেতু কালো রঙের একটি ফল সুতরাং আপনার ধারণা হতেই পারে যে জান খেলে হয়তো আমার বাচ্চাটি কালো হবে। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। বাস্তবে আজ পর্যন্ত কোথাও জাম খাওয়ার কারণে কালো বাচ্চা হওয়ার নজির পাওয়া যায়নি।

আগেই বলেছি জাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল। এ ফলটি দেখতে কালো বর্ণের হলেও এর সাথে আপনার গর্বের বাচ্চা কালো হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এতক্ষণ আপনারা গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গেছেন। সাথে জানতে পেরেছেন কিভাবে কোন নিয়মে জাম খেতে হয়।

জামের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারী পুষ্টি ও গুনাগুন যা শিশুর মানসিক বৃদ্ধি এবং শারীরিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় এটি আপনার গর্ভে থাকা শিশুর ভ্রূণের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। সুতরাং গর্ভকালীন সময়ে সন্তান কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে জাম খাওয়া থেকে বিরত না থেকে নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় নিয়মিত জাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের অবগত থাকা উচিত।গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের জাম খাওয়ার মাধ্যমে তেমন কোনো ক্ষতি হয় বলে আমার মনে হয় না। তবে প্রতিটি জিনিসেরই ক্ষতিকর কিছু দিক রয়েছে। তাই জামেরও কিছু সাধারন অপকারিতা রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায়-জাম-খাওয়ার-অপকারিতা
যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে জানা গেছে যে গর্ভকালীন সময়ে জাম খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ তবুও মায়েদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা গর্ভধারণ কালে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ আপনার সন্তানের উপরে প্রভাব ফেলবে। তাই প্রতিটি কাজ যদি আপনি সাবধানতার সহিত না করেন বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে তাহলে এটি আপনার সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আপনার যদি ডায়াবেটিস জাতীয় কোন সমস্যা থাকে তবে আপনি কখনোই খুব বেশি পরিমাণে জাম খাবেন না। কেননা এর মাধ্যমে আপনার শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব পড়ে এবং আপনার রক্ত জমাট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি চাইলে সারাদিনে দুই বাটি যান খেতে পারেন। আপনি যদি এর থেকেও বেশি পরিমানে জাম খান তবে আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

লেখকের মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-জামের  পুষ্টিগুন 

জাম এমন একটি ফল যা আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদাকে পূরণ করতে পারে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং জামের পুষ্টি ও গুনাগুন সম্পর্কে আপনাদেরকে পরিপূর্ণভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে আশা করি এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা লাভ করেছেন।

আপনি যদি আর্টিকেলের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও এর সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে পারে। এ সম্পর্কে যদি আপনার আরো কিছু জানার থাকে তবে আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমি পরবর্তীতে সে বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এক্সপার্ট আইটি 24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url