দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি
দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে আপনি কি
জানতে চান? তবে আজকের আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে
আপনি দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা কেমন এবং কোন কাজ করলে বেশি বেতন পাওয়া যাবে সে
সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
বিশ্বের উন্নত এবং অগ্রগামী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে দুবাই। যেখানে
অসংখ্য মানুষ প্রতিবছর তাদের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে প্রবাসী হয়ে পাড়ি
জমিয়ে থাকেন। তাই আপনি যদি দুবাইয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান এবং জানতে চান কোন
কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন বেশি তবে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃদুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি
- দুবাইয়ে কোন কাজে চাহিদা বেশি
- দুবাইয়ে কোন কাজের বেতন বেশি
- দুবাইয়ে কোন কাজের বেতন কত
- দুবাইয়ের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা
- দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- দুবাই বাংলাদেশ এম্বাসি মোবাইল নাম্বার
- দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে
- লেখক এর মন্তব্যঃদুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি
দুবাইয়ে কোন কাজে চাহিদা বেশি
দুবাইয়ে কোন কাজে চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে তারপরেই আপনার ঠিক করা উচিত আপনি
কোন কাজের জন্য দুবাই যেতে চান। কেননা সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। আর শহরটি
উন্নত হওয়ায় সেখানে কাজের চাহিদা অনেক বেশি। সে কারণে অসংখ্য ও অগণিত মানুষ
প্রতিবছর তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য দুবাইয়ে পাড়ি জমায়।
কিন্তু আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কোন কাজের জন্য দুবাইয়ে চাহিদা সবচাইতে বেশি
এবং কোন কাজ করলে সবচাইতে বেশি বেতন পাওয়া যাবে তবে সে সম্পর্কে আপনার কোন
অভিজ্ঞতা থাকবে না। তাই সে শহরে যাওয়ার আগে সে সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যন্ত
জরুরী। কেননা যে কোন বিষয়ে যদি আপনার আগের থেকে ধারণা থাকে তবে আপনি দ্রুত সে
কাজে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে পারবেন।
এবং কাজ করার প্রতি আপনার একটা অন্যরকম আগ্রহ জন্মাবে। আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি
মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে দুবাইয়ের কাজের সম্পর্কে আপনি খুব ভালোভাবে জানতে
পারবেন। তাই চলুন দেরি না করে দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন
বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সবকিছু জেনে নেই।
কনস্ট্রাকশনের কাজঃ শুধুমাত্র দুবাই নয় বর্তমান সময়ে প্রায় পুরা বিশ্বে
কনস্ট্রাকশনের কাজের যেমন চাহিদা বাড়ছে তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি
হচ্ছে। দুবাইয়েও কনস্ট্রাকশন এর কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া
হচ্ছে। তাই আপনি যদি কনস্ট্রাকশন শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য দুবাই যেতে চান তবে
সে কাজটি আপনার আগের থেকে জানা থাকে তবে খুব অল্প সময়ে আপনি অনেক টাকা ইনকাম
করতে পারবেন।
ওয়েল্ডিং এর কাজঃ ওয়েল্ডিং এর কাজ বলতে সাধারণত তীব্র উত্তাপের মাধ্যমে
দুটি ধাতব পদার্থ গলিয়ে পরস্পরের সাথে জোড়া লাগানো কে বোঝায়। দুবাইয়ে এই
কাজের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি যদি ওয়েল্ডিং এর কাজ ভালোভাবে জানেন এবং আপনার
অভিজ্ঞতা থেকে কাজে লাগিয়ে ঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তবে ওয়েল্ডিং এর কাজ করার
মাধ্যমে দুবাইয়ে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইলেকট্রনিক্স এর কাজঃ পুরা বিশ্বের মধ্যে সকল বড় বড় ফ্যাক্টরি এবং
ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই
ইলেকট্রনিক বিষয়ে আপনার যদি আগে থেকেই কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে অর্থাৎ আপনি যদি
একজন দক্ষ অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান হন তবে এই কাজের মাধ্যমে আপনি অল্প সময়ে
দুবাইয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ড্রাইভিং এর কাজঃ বর্তমান বিশ্বে গাড়ির সংখ্যা দিন দিন অনেক বেড়েই
চলেছে। তাই দুবায়ের মতো উন্নত শহরগুলোতে অভিজ্ঞ ড্রাইভার এর চাহিদা অনেক বেশি।
তাই আপনি যদি ভালোভাবে গাড়ি ড্রাইভ করতে পারেন বা আগে থেকেই আপনার ড্রাইভিং করার
অভিজ্ঞতা থাকে তবে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই দুবাইয়ে আপনার
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন এবং সেখান থেকে পর্যাপ্ত অর্থ ইনকাম করতে
পারবেন।
হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টঃ বিশ্বে যেমন মানুষ বাড়ছে তেমনি বাড়ছে হোটেল এবং
রেস্টুরেন্টের সংখ্যাও। সেই সাথে আরো বাড়ছে হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের শ্রমিকের
চাহিদাও। সুতরাং আপনার যদি এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি খুব সহজে দুবাইয়ের
হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট গুলোতে নিজের জায়গা করে নিতে পারবেন এবং সেখান থেকে
পর্যাপ্ত অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
প্লাম্বিং এর কাজঃ প্লাম্বিং বলতে সাধারণত পাইপ, ফিক্সচার এবং বিভিন্ন
যন্ত্রপাতির সিস্টেমগুলোকে বোঝায় যা বিশুদ্ধ পানি, বর্জ্য, গ্যাস ইত্যাদি বহন
করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দুবাইয়ে প্লাম্বিং এর কাজের রয়েছে অনেক চাহিদা।
তাই আপনি যদি একজন ভালো এবং অভিজ্ঞ প্লাম্বার হয়ে থাকেন তবে খুব সহজে দুবাইয়ে
নিজের কাজের জায়গা করে নিতে পারবেন। ফলে আপনার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এবং
আপনি ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
দুবাইয়ে কোন কাজের বেতন বেশি
দুবাইয়ে কোন কাজের বেতন বেশি আপনার যদি আগে থেকেই বিষয়টি জানা থাকে তবে আপনি সেই কাজের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে খুব অল্প সময়ের সে বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারবেন এবং দুবাইয়ে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার কাজ ভালোভাবে করে যার অধীনে কাজ করবেন তাকে খুশি করতে পারেন তাহলে কম সময়ের মধ্যে আপনি পদোন্নতি লাভ করতে পারবেন এবং অধিক অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
কেননা অভিজ্ঞ শ্রমিককে সবাই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই আপনি যে কাজের জন্য দুবাই যেতে চান সে কাজে অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। এর সাথে কোন কাজ করলে কম পরিশ্রমে অধিক বেতন পাওয়া যাবে সেটি জানাও অত্যন্ত জরুরী। এতে করে সেই কাজে অভিজ্ঞ হয়ে আপনি দুবাইয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন। যা আপনাকে অন্যদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অন্যদের তুলনায় আপনার বেতন অনেক বেশি হবে। আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে আপনার মনে আর কোন সংশয় থাকবে না। চলুন তাহলে এবারে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক দুবাইয়ে কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে।
কনস্ট্রাকশন ও নির্মাণের কাজঃ বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কনস্ট্রাকশন ও
নির্মাণের কাজে দুবাইয়ে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি পড়াশোনা নাও জানেন
তবুও নির্মাণের কাজ করে আপনি ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে
পারবেন। কনস্ট্রাকশন এর কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি এই কাজে অভিজ্ঞ
হয়ে থাকেন তবে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ইলেকট্রিশিয়ানের কাজঃ দুবাইয়ে ইলেকট্রনিক্স এর কাজের যেমন ব্যাপক চাহিদা
রয়েছে তেমনি একজন দক্ষ ইলেকট্রনিশিয়ানের বেতন অনেক বেশি। আপনি যদি একজন দক্ষ
ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে থাকেন তবে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেক সময় আপনার দক্ষতা বেশি হওয়ার কারণে আপনি এর থেকে অনেক বেশি টাকাও ইনকাম
করতে পারবেন।
ড্রাইভিং ও মেকানিকের কাজঃ দুবাইয়ে ড্রাইভারদেরকে অনেক টাকার বেতন দেয়া
হয়ে থাকে। এর সাথে একজন দক্ষ মেকানিক হতে পারলে এর মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। কেননা এসব কাজের জন্য শ্রমিকদেরকে অনেক বেশি পরিমাণ বেতন
দেওয়া হয়।
এছাড়া প্লাম্বিং এর কাজের জন্যও দুবাইয়ে অনেক বেশি পরিমাণ বেতন দেওয়া হয়ে
থাকে। তাই আপনি যদি উপরোক্ত কাজগুলোতে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন এবং দুবাইয়ে যান তবে
খুব কম সময়ে আপনি নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন এবং অনেক বেশি
বেতনে চাকরি করতে পারবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কাজের জন্য অভিজ্ঞতা কতটা জরুরী।
তাই আপনারা চাইলেই এসব কাজ শিখে দক্ষ হয়ে দুবাইয়ে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
দুবাইয়ে কোন কাজের বেতন কত
দুবাইয়ে কোন কাজের বেতন কত এটি জানা আপনার জন্য ততটাই জরুরী, যতটা জরুরী
দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি তা জানা। কেননা কোন
কাজের বেতন কত তা যদি আপনি জানেন তাহলে এমনিতেই বুঝতে পারবেন দুবাইয়ে কোন কাজের
বেতন সবচাইতে বেশি। শুধু তাই নয় এতে করে আপনি প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে সে
কাজের জন্য নিজেকে যোগ্য এবং অভিজ্ঞ করে তুলতে পারবেন।
বর্তমানে দুবাইয়ে বাংলাদেশি টাকায় সর্বনিম্ন বেতন দেয়া হয় ৩৫হাজার টাকা। তবে
যারা একেবারে নতুন এবং কাজের কোন অভিজ্ঞতা থাকে না তাদের বেতন তুলনামূলক কম হয়ে
থাকে। কাজের দক্ষতা বাড়ানোর সাথে সাথে আস্তে আস্তে তাদের বেতনও বাড়তে থাকে। তাই
আপনি যদি অনেক বেশি বেতন পেতে চান তবে দক্ষতা অর্জন করা অত্যাবশ্যক।
প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণে জানতে পেরেছেন দুবাইয়ে কোন কোন কাজের বেতন বেশি এবং
কোন কাজের জন্য তারা বেশি লোক নিয়ে থাকেন। এবারে আমরা জানব দুবাইয়ে কোন কাজ
করলে কত বেতন দেয় সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে দুবাইয়ে কোন কাজ করলে কত
বেতন দেওয়া হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
ক্রমিক নং | পেশা | মাসিক বেতন (টাকা) |
---|---|---|
০১ | মেকানিক | ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা |
০২ | গার্মেন্টস | ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা |
০৩ | হেল্পার | ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা |
০৪ | ক্লিনার | ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা |
০৫ | ফ্যাক্টোরির কাজ | ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা |
০৬ | প্লাম্বার | ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা |
০৭ | নির্মান শ্রমিক | ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা |
০৮ | ইলেকট্রিশিয়ান | ৬০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা |
০৯ | ড্রাইভিং | ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা |
১০ | ওয়েটার | ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা |
১১ | ডেলিভারি ম্যান | ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা |
দুবাইয়ের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা
দুবাইয়ের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা আপনার মনে হয় তো এ বিষয়টি নিয়ে অনেক
প্রশ্ন থাকতে পারে। কেননা আমরা অনেকেই জানিনা কোন দেশের টাকার মান কেমন। একেক
দেশে টাকার মান একেক রকম হয়ে থাকে। তাই দুবাই এবং বাংলাদেশের টাকার মধ্যেও মানের
পার্থক্য রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই দুবাইয়ের এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা হয়
সে সম্পর্কে।
দুবাইয়ের ১ টাকা = বাংলাদেশের ৩১ টাকা
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য এটি অবশ্যই জানা থাকা দরকার। আপনি
এতক্ষণে জানতে পেরেছেন দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি
সে সম্পর্কে। এর সাথে আরও জানতে পেরেছেন দুবাই ও বাংলাদেশের টাকার মান। হয়তো মনে
মনে ভাবছেন এগুলো তো জানতে পারলাম কিন্তু দুবাই যেতে আসলে কত টাকা খরচ হয়। এটাই
ভাবছেন তাই তো? চলুন জেনে নেই সেই সম্পর্কে।
টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না। যে কোন জায়গায় যেতে গেলে অবশ্যই টাকার প্রয়োজন
হয়। তাই আপনি যদি দুবাই যেতে চান তাহলে আপনি অনেক টাকার খরচ রয়েছে। বিভিন্ন রকম
ভিসা ক্যাটাগরিতে মানুষ দুবাই যেয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে স্টুডেন্ট ভিসা,
বিভিন্ন কোম্পানি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, কাজের ভিসা ইত্যাদি। তাই একেক জনের খরচ
একেক রকম হয়ে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনি যে ক্যাটাগরির ভিসা করতে চান সেই
অনুপাতে আপনার খরচ হবে।
তাই সঠিকভাবে বলাটা খুবই কঠিন যে আসলেই দুবাই যেতে কত টাকা খরচ হয়। যারা
দুবাইয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে যদি আপনি জেনে নিতে পারেন তবে খুব ভালোভাবে এ
সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি দুবাই যেতে চান তবে
আপনার ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। তবে যারা শুধুমাত্র দেশ ভ্রমণের জন্য
টুরিস্ট হিসেবে যায় তাদের ভিসার দাম অনেকটা কম হয়ে থাকে।
দুবাই যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
দুবাই যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে দুবাই যাওয়ার পূর্বে আপনার অবশ্যই জানা উচিত। যেহেতু বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা হয়ে থাকে সেহেতু আলাদা আলাদা ভিসার জন্য আলাদা আলাদা কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। সুতরাং আপনি যে ক্যাটাগরির ভিসা করতে চান সেই অনুপাতে সকল কাগজপত্র গুলো আপনাকে সংগ্রহ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। চলুন জেনে নেই দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে।
- প্রথমে আপনার একটি পাসপোর্ট লাগবে।
- আপনার বর্তমান সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন কৃত একটি সার্টিফিকেট লাগবে।
- ভিজিট ভিসার জন্য আপনার মেডিকেল সনদ লাগবে।
- কাজের ভিসার জন্য কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে।
- কাজের ভিসার জন্য আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কতটুকু আছে তার প্রমাণ লাগবে।
- আপনার নিজস্ব ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
- আপনার যে জাতীয় পরিচয় পত্র আছে তাই স্ক্যান করে দিতে হবে।
- আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অফিসিয়াল এনওসি’র স্ক্যান কপি লাগবে।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সার্টিফিকেট আছে সে সার্টিফিকেট গুলো লাগবে।
- অন্যান্য কিছু কাগজপত্র লাগতে পারে(প্রয়োজনের খাতিরে)।
দুবাই বাংলাদেশ এম্বাসি মোবাইল নাম্বার
দুবাই বাংলাদেশ এম্বাসি মোবাইল নাম্বার এটি সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তবে
অবশ্যই আপনাকে এ সম্পর্কে জানতে হবে। দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য এবং সেখানে গিয়ে
আপনি যেন কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন তাই আপনাকে এই নাম্বারটি জেনে রাখতে হবে।
চলুন তাহলে জেনে নিন দুবাই বাংলাদেশ এম্বাসি এর মোবাইল নাম্বার সম্পর্কে।
যেহেতু আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাচ্ছেন সুতরাং সেখানে যাওয়ার যে এমব্যাসি
রয়েছে সেখানে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। এটি কোন দিন খোলা এবং কোন দিন বন্ধ থাকে
এটি আপনাকে আগে জেনে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ দুবাই
যেয়ে থাকে। তাই এম্বাসিতে কখন গেলে আপনি খোলা পাবেন সেটি যদি আপনার জানা থাকে।
তাহলে আপনি খুব সহজেই তাদের কাছ থেকে সাপোর্ট পাবেন এবং আপনার যদি কোন কিছু জানার
থাকে তা ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন। দুবাই যাওয়ার জন্য এম্বাসির যে নাম্বারটি
সার্বক্ষণিকভাবে ব্যবহৃত হয় সেটি হলঃ (+880 2 222 282 277)। আপনি উক্ত
নাম্বারটিতে যোগাযোগ করার মাধ্যমে এম্বাসি থেকে বিভিন্ন তথ্য ও খবর পেতে পারেন।
দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে
দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে সে সম্পর্কে আপনি যদি এখনো জেনে না থাকেন তবে দুবাই
যাওয়ার পূর্বে আপনার অবশ্যই এটি জানতে হবে। কেননা আপনার যদি পর্যাপ্ত বয়স না
হয় তবে আপনি কখনোই সেখানে যেতে পারবেন না। আর যদি কোন অসাধু উপায়ে যেয়ে থাকেন
তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
তাই দুবাই যাওয়ার পূর্বে দুবাই যেতে কত বছর বয়স হওয়া দরকার সেটি আপনাকে অবশ্যই
জানতে হবে। আপনি যদি স্টুডেন্ট অথবা ভিজিট ভিসা করে দুবাই যেতে চান সে ক্ষেত্রে
আপনার ন্যূনতম বয়স ১৮ হতে হবে। এ দুটি ভিসার জন্য বয়সের কিছুটা তারতম্য থাকতে
পারে কিন্তু আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়।
তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে এবং আরো কিছু
নিয়মকানুন রয়েছে। আর আপনি যদি দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দুবাই যেতে চান
তার জন্য আপনার বয়স নূন্যতম ২২ বছর হতে হবে। উপরের আলোচনা থেকে এতক্ষণে আপনি
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গেছেন দুবাই যেতে হলে আসলেই কত বছর বয়স হওয়া প্রয়োজন।
লেখক এর মন্তব্যঃদুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি
দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে আজকের
আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য নিশ্চয় জানতে
পেরে গেছেন। আপনি যদি দুবাইয়ে যেতে চান তবে উপরোক্ত বিষয়গুলি জেনে এবং মেনে
তারপরেই আপনার দুবাইয়ে যাওয়া উচিত।
উপরোক্ত আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি কোন উপকার পেয়ে থাকেন তবে এটি আপনার নিকটস্থ
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তারাও এ বিষয়গুলো যেন উপকৃত হতে পারে।
যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি এগুলো ছাড়া এ বিষয়ে যদি আপনার আরো কিছু জানার থাকে
তবে কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দেবেন। আমি পরবর্তীতে এ বিষয়ে আর্টিকেল
লিখে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পাওয়ার
জন্য আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ সময়ের সাথে থাকার জন্য
ধন্যবাদ।
এক্সপার্ট আইটি 24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url